ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছাত্রদল নেতা নয়ন মিয়ার হত্যার প্রতিবাদে কেন্দ্রিয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে শেরপুরে জেলা ছাত্রদলের বিক্ষোভে পুলিশের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। ওই সময় পুলিশের সাথে নেতা কর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
পরে পুলিশ রাবার বুলেট টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। এতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারসহ ৬ পুলিশ সদস্য ও ১৫ বিএনপি নেতাকর্মী আহত এবং ঘটনাস্থল থেকে ১৫নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি মাহমুদুল হক রুবেল বলেন, দুপুর পৌনে তিনটার দিকে আমার বাসা থেকে আমরা জেলা বিএনপির অফিসে যাবার পথে ডিবি পুলিশ বাঁধা দেয়। এসময় অতর্কিতভাবে হামলা শুরু হলে এক পর্যায়ে পুলিশ ও নেতা কর্মীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। এতে অন্তত শতাধিক নেতাকর্মী আহত ও চল্লিশ জনকে আটক করা হয়েছে বলে তিনি দাবী করেন।
শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) হান্নান মিয়া বলেন, আমাদের কাছে আগেই তথ্য ছিলো, তারা নাশকতা করার পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নেমেছে। প্রায় তিন হাজার ইট পাটকেল তারা নিক্ষেপ করে। আমাদের প্রস্তুতি থাকায় আমরা তাদের নিবৃত্ত করতে পেরেছি। যারা পুলিশের উপর হামলা করেছে, তাদের বিরুদ্ধে আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নিবো।