প্রচলিত পদ্ধতিতে চারা তৈরি করে জমিতে লাগানো পর্যন্ত বিঘা প্রতি ১৭০০-২০০০ টাকা খরচ হলেও রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের জন্য বিঘা প্রতি ১২০০-১৩০০ টাকা খরচ হয়। স্বল্প সময়ে অধিক জায়গায় ধান লাগানোর কাজে রাইস ট্রান্সপ্লান্টার ব্যবহার করলে ধান উৎপাদনের খরচ কমবে এবং শ্রমিক স্বল্পতার সমস্যা মোকাবেলা করে উৎপাদন অব্যাহত রাখা যাবে।
কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণের উদ্দেশ্যে বুধবার রংপুর জেলার তাঁরাগঞ্জ উপজেলার বুড়িরহাট গ্রামে যান্ত্রিক পদ্ধতিতে ধান চাষাবাদের লক্ষ্যে খামার যন্ত্রপাতি গবেষণা কার্যক্রম বৃদ্ধিকরণ প্রকল্প, ব্রি গাজীপুর এর সহযোগিতায় বোরো মৌসুমে সমলয় চাষাবাদে আধুনিক রাইস ট্রান্সপ্লান্টার মেশিনের সাহায্যে ৩০ একরের বেশি জমিতে ব্রি ধান ৭৪, ব্রি ধান ৮৯, ব্রি ধান ৯২ এবং ব্রি হাইব্রিড ধান ৩ ধানের চারা রোপণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। এসময় বক্তারা আধুনিক রাইস ট্রান্সপ্লান্টার সুফলের বিষয়টি কৃষকদের কাছে তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মো. সিদ্দিকুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি), আঞ্চলিক কার্যালয় রংপুরের সিনিয়র সাইন্টিফিক অফিসার ও প্রধান ড. মো. রকিবুল হাসান। এ সময় বিশেষ অতিথি ছিলেন তারাগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা উর্মি তাবাসসুম ব্রি আঞ্চলিক কার্যালয় রংপুরের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, মো. খালিদ হাসান তারেক। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাবৃন্দ, উপকারভোগী কৃষকসহ প্রায় ২ শতাধিত আগ্রহী কৃষক কৃষাণী। উপস্থিত কৃষকগণ আগামীতে রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে ধান রোপণের আগ্রহ প্রকাশ করেন।