সাতক্ষীরায় শীতের মধ্যে শনিবার সকাল থেকে রোববার সারাদিন গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হয়েছে।এতে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। এতে অসহায় খেটে খাওয়া মানুষরা পড়েছেন চরম বিপাকে।এদিকে সাতক্ষীরার আশাশুনি উপকূলীয় বেড়িবাঁধের উপর আশ্রয় নেয়া ভূমিহীন পরিবারগুলোতে অভিশাপ হয়ে দেখা দিয়েছে তীব্র শীতের সাথে বৃষ্টি। জলবায়ু পরিবর্তন জনিত কারণে অসময়ের বৃষ্টিতে ধান চাষে ব্যাহত হচ্ছে।সাতক্ষীরা জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী রিপন বলেন,পশ্চিমা লঘুচাপের কারণে জেলাজুড়ে সকাল থেকে বিকাল গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হয়েছে।
সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত মাত্র দুই মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বৃষ্টির কারণে রাতের তামপাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও। বৃষ্টির সাথে সাথে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। আগামীকাল রবিবারও সাতক্ষীরা উপকূলীয় বৃষ্টি হওয়ার সম্ভবনা আছে। বৃষ্টি শেষ হওয়ার পর শীতের তীব্রতা আরও বৃদ্ধি পাবে। এ মাসের শেষ দিকে জেঁকে বসতে পারে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। চলতি মাসে জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামতে পারে। ডিসেম্বরের ২০ তারিখে জেলায় সর্বনিম্ন ১০ দশকি ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।তিনি আরও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে চলতি বছর বেশি পরিমান বৃষ্টিপাত লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুসারে জেলার আকাশ শনিবার ভোর থেকেই মেঘলা ছিল। মধ্যরাত থেকেই হালকা প্রবল কুয়াশা দেখা দেয়।শনিবার ছুটির দিন হলেও বিপাকে পড়েছেন বাইরে কাজে বের হওয়া মানুষরা।শীতের বৃষ্টিতে অপ্রস্তুত থাকায় চরম বিড়ম্বনার পাশাপাশি শীত বেড়ে যাওয়ায় দুর্ভোগ পোহা”েছন তারা।গতরাতে তাপমাত্রা বাড়লেও সকাল থেকে বৃষ্টির কারণে তাপমাত্রা কমতে শুর“ করে এবং গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির আকাশ মেঘা”ছন্ন আছে। বাড়ির বাইরে মানুষের উপস্থিতিও বেশ কম। জর“রি প্রয়োজনে ছাতা মাথায় অনেককে যাতায়াত করতে দেখা গেছে।জেলার বিভিন্ন এলাকায় এমন পরিস্থিতির খবর পাওয়া গেছে।সাতক্ষীরা পৌর এলাকার কাটিয়া এলাকার ভ্যান চালক আবু মুছা বলেন, সকাল থেকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হওয়ার কারণে শীত বেড়েছে। ভ্যান নিয়ে বের হতে পারেনি, রোজগার করতে পারিনি।পৌর সভার রাজার বাগান এলাকার কৃষক আবুল হোসেন বলেন, ডিসেম্বর মাসে যে পরিমান বৃষ্টিপাত হয়েছে বিগত বছরগুলোতে বর্ষাকালেও সে পরিমাণ বৃষ্টি হয়না। সে পানি আজও কমেনি। বিলের থেকে নদী উচা। সে কারণে পানি টানছে না। সূর্যের আলোয় সেটুকা কমছে এছাড়া কোন উপায় নেই।
বেতনা নদী না কাটা পর্যন্ত আমাদের কষ্ট লাঘব হবে না। রাজার বাগান বিল এবং সুডুর ডাঙ্গী বিলের ৮’শ বিঘা জমি জলাবদ্ধ হওয়ার কারণে কয়েক ধান রোপন করা যাচ্ছে। ধান চাষের উপর আমাদের সবকিছু। ধান না হলে কিছু কিছু বলতে পারছি না।জলবায়ু পরিষদের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী বলেন, বিগত কয়েক বছর ধরে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। যে সময় বৃষ্টি দরকার সে সময় বৃষ্টি হচ্ছে না। অসময়ে বৃষ্টিপাত অবশ্যই জলবায়ু পরিবর্তন কারণে হচ্ছে। আজ বৃষ্টি কম হলেও শীতকালিন বিভিন্ন সবজি সহ বিভিন্ন ফলের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। গত মাসের বৃষ্টির পানি অনেক এলাকা জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করেছে। আবার এই বৃষ্টিতে ধান চাষ ব্যহত হচ্ছে।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর
যোগাযোগ: । 01894-944220 । [email protected], বিজ্ঞাপন: 01894-944204
ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।
© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh