নাটোরের গুরুদাসপুর পৌর সদরেরর আনন্দ নগর মহল্লায় বক্স কালভার্ট স্লাবের অর্ধেক অংশ ভেঙ্গে পরায় দুর্ভোগে পরেছে ওই এলাকায় চলাচলকারী সর্বসাধারণ। বিকল্প সড়ক না থাকায় ঝুকিপুর্ন ওই কালভার্ট দিয়ে ঝুকি নিয়ে চলাচল করছে পথচারী যানবাহন।
রবিবার সকালে সরোজমিনে দেখা গেছে, পৌর সদরের ৯ নম্বর ওয়ার্ড আনন্দ নগর মহল্লার সরকারী টেকনিক্যাল স্কুল এ্যান্ড কলেজের উত্তর দিকে হ্যারিংবন্ড রাস্তার আব্দুল মতিনের বাড়ির সামনের কালভার্টটির উপরের স্লাব ভেঙ্গে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা মাটির বস্তা ফেলে ঝুকি নিয়ে চলাচল করলেও যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। ক্ষতিগ্রস্থ কালভার্টটি আনন্দ নগর মহল্লার বাঘমারা বিলের পানি প্রবাহের একমাত্র মাধ্যম ও অনন্ত ৬টি গ্রামের কৃষকদের উৎপাদিত ফসল আনা নেয়ার রাস্তায় অবস্থিত। কালভার্টের স্লাব ভেঙ্গে পরায় আনন্দ নগর, কালাকান্দর, খুবজীপুর, খলিফাপাড়া গ্রামের কৃষক ও কৃষি শ্রমিকরা ওই এলাকার মাঠের জমির ফসল উৎপাদন ও ঘরে তোলা নিয়ে বিপাকে পরেছেন।
কালাকান্দর গ্রামের কৃষক মোবারক হোসেন জানান, বাঘমারা, বাহান্ন বিঘা, লজরের খাপালসহ ৫/৬টি মাঠের অন্তত ২ হাজার বিঘা জমির উৎপাদিত ফসল ওই পথেই আনা নেয়া করা হয়। কালভার্টটি ভাঙ্গা থাকায় যানবাহন চলাচল, জমি চাষ, ট্রাক্টর, ট্রলি, সেচযন্ত্র পরিবহন এমন কি হাটা চলাচলেও বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। ঝুকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে কৃষক ও কৃষি শ্রমিকদের। আনন্দ নগর মহল্লার কৃষক শফিকুল ইসলাম বলেন, দু বছর আগে পুকুর খননের মাটি বহনের অভারলোড ট্রাকের কারনে কালভার্টটি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। তারা সংস্কার করে দেবার কথা বলে তা না করেই চলে গেছে। এতে স্কুলগামী শিশুরা ঝুকি নিয়ে চলাচল করছে। যে কোন সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা।
এ বিষয়ে পৌর মেয়র শাহনেওয়াজ আলী জানান, কালভার্টের দুরাবস্থার বিষয়টি তিনি অবগত তার পরামর্শে পৌর প্রকৌশলী সরোজমিনে পরিদর্শন করে এসেছেন। আগামী টেন্ডারে সংস্কার কাজ অর্ন্তভুক্ত করে জনদুর্ভোগ লাঘব করা হবে।