রাজশাহীর বাগমারায় পাশবিকতার শিকার হয়েছে নয় বছরের এক মাদরাসাশিক্ষার্থী। এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে শাকিল আহম্মেদ (২০) নামের এক শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শিশুটির বাবার দায়ের করা মামলায় শুক্রবার সকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

উপজেলার বাসুপাড়া ইউনিয়নের একটি হাফেজিয়া মাদরাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এই মাদরাসায় দীর্ঘদিন ধরে শিশুশিক্ষার্থীদের কোরআন শিক্ষা দিতেন শাকিলসহ দুই শিক্ষক। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একই মাদরাসায় থাকতেন তারা। বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাক আহম্মেদ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার শিক্ষক নিজের দায় কথা স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় তিনি অনুতপ্ত বলেও জানিয়েছেন পুলিশকে। তার বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

ভুক্তভোগী শিশুটির পরিবারের বরাত দিয়ে ওসি জানান, গত বুধবার ওই ছাত্রকে নিজ কক্ষে ডেকে নেন শিক্ষক শাকিল আহম্মেদ। সেখানেই তার ওপর চলে যৌন নিগ্রহ। ঘটনাটি কাউকে না জানাতে শিশু শিক্ষার্থীকে ভয় দেখিয়েছিলেন ওই শিক্ষক। পরে কৌশলে ওই শিক্ষার্থী বাড়ি ফিরে যায়। গিয়ে অভিভাবকদের ঘটনাটি জানান। মাদরাসায় ফিরতেও আপত্তি জানায় শিশুটি। পরে ঘটনাটি জানাজানি হলে পুলিশ ভুক্তভোগী শিশুর সঙ্গে কথা বলে।

ওসি বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে মাদরাসায় অভিযান চালানো হয়। ওই সময় গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত শিক্ষককে। এনিয়ে রাতেই ওই শিশুর বাবা থানায় মামলা করেন। গ্রেফতার শিক্ষককে আদালতে ও ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।