বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার ডহরপুর গ্রামে শনিবার (১ আক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় স্বামীর বাড়িতে বিয়ের মাত্র ৫ মসের মাথায় প্রিয়াসা (২৪) নামের এক গৃহবধূর গলায় ওড়নার ফাঁস দিয়ে রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।
প্রিয়াসার মা ইয়াছমিনের দাবি তার মেয়েকে নির্যাতন করে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
প্রিয়াসা আদমদীঘির ডহরপুর রোডের নাসরুল্লাহ ঐক্যের স্ত্রী এবং আদমদীঘি রহিম উদ্দীন ডিগ্রী কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. আনোয়ারুল হক পল্টুর পুত্রবধূ। ঘটনার পর থেকে গৃহবধূর স্বামী গাঢাকা দিয়েছেন।
আদমদীঘি থানার উপ-পরিদর্শক মো. কাওছার আলী জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে। মৃত্যুটি রহস্যজনক হওয়ায় মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
জানা যায়, আদমদীঘি রহিম উদ্দীন ডিগ্রী কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. আনোয়ারুল হক পল্টুর ছেলে নাসরুল্লাহ ঐক্যের সাথে ৫ মাস আগে নওগাঁর চাকলা বক্তারপুর গ্রামের মো. জসিম উদ্দিনের মেয়ে প্রিয়াসার প্রেমের সম্পর্ক করে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে নানা কারনে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বনিবনা হচ্ছিল না। এ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে মনমালিন্য চলে আসছিল।
শনিবার আবারো পারিবারিক কলহের সূত্রধরে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় গৃহবধূ প্রিয়াসা তার শয়ন ঘরে ফ্যানের সাথে গলায় ওড়নার ফাঁস লাগানো মরদেহ উদ্ধার করে স্বামীর পরিারের লোকজন।
গৃহবধু চাচাশ্বশুর আনিছুল হক নান্টু জানায়, বিকেলে গৃহবধূকে তার স্বামী বেড়াতে নিয়ে না যাওয়ায় আত্মহত্যা করেছে।