গাইবান্ধার ৭ উপজেলার বিভিন্ন সড়কে অবৈধ যান কাঁকড়া (ট্রাক্টর) বেপারোয়া গতিতে চলাচল করছে। এই ট্রাক্টরের চাপায় গত চারদিনে দু’জন নিহত হয়েছেন। সোমবার রাতে বেপরোয়া গতির ট্রাক্টরের চাপায় মজিবর রহমান নান্টু (৭০) নামে এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন।
জানা গেছে, গাইবান্ধা জেলা শহরের কলেজ রোডে সদর থানার সামনে সোমবার রাত ৯টার দিকে মজিবর রহমান নান্টুকে পেছন দিক থেকে একটি ট্রাক্টর চাপা দেয়। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান। নিহত নান্টু গাইবান্ধা শহরের আবাসিক হোটেল আল কাওসারের ম্যানেজার। তার বাড়ি সদর উপজেলার বোয়ালী ইউনিয়নের কয়া ছয়ঘরিয়া গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের মৃত অফিল উদ্দিনের ছেলে। স্থানীয়রা ঘাতক ট্রাক্টরটিকে আটক করে সদর থানায় সোপর্দ করে।
এর আগে গত শনিবার গাইবান্ধা-ফুলছড়ি-সাঘাটা সড়কে সদর উপজেলার বাদিয়াখালী ইউনিয়নের রামনাথের ভিটা সাদুর আশ্রম এলাকায় দ্রুতগামী ট্রাক্টরের চাপায় হাসিনা বেগম (৬৫) এক বৃদ্ধা নিহত হন। হাসিনা বেগম তালুক রিফাইতপুর চাদের ভিটা গ্রামের মো. মনসুর আলীর স্ত্রী।
উল্লেখ্য, জমি চাষের কাজে ব্যবহৃত ট্রাক্টরকে মালামাল পরিবহনের কাজে ব্যবহারের জন্য অবৈধভাবে যান তৈরী করা হয়েছে। স্থানীয় ভাষায় যাকে কাঁকড়া বলা হয়। এই অবৈধ যানের বেপরোয়া চলাচলে সড়কে দুর্ঘটনা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। গাইবান্ধা জেলার গ্রামাঞ্চলের কাঁচা-পাকা রাস্তা ধ্বংস হচ্ছে মাটি ও বালুসহ বিভিন্ন মালবাহী কাঁকড়া চলাচলের কারণে।
সরকার যখন গ্রামীণ উন্নয়নে যোগাযোগ অবকাঠামো নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণে কোটি কোটি টাকা খরচ করছে, তখন জমি চাষের ট্রাক্টরের সাথে বডি লাগিয়ে বানানো কাঁকড়া নামক অদ্ভুত যানটির কারণে গাইবান্ধায় সরকারের এই বিপুল পরিমাণ খরচ বিফলে যাচ্ছে।