তেলের দাম বাড়ার সাথে সাথে নিত্যপন্যের দামও বাড়ছে নিয়মিত। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার প্রতিটি হাট-বাজারের সাধারণ দৃশ্য এটি।
নিত্যপন্যের বাজারদরে হাঁপিয়ে উঠা মানুষদের এ মহুর্তে সবচেয়ে বড় ভেলকি দেখাচ্ছে ডিম। সকাল-দুপুর-বিকাল-রাতে ভিন্ন ভিন্ন দাম। পাইকারি পর্যায়ে একধাপ বাড়লে খুচরা মূল্য দ্বিগুণ বাড়ে। নিয়ন্ত্রণহীন বিশৃঙ্খল এক পরিস্থিতি। ইচ্ছেমতো দাম হাঁকাচ্ছে সবাই। এক দোকান থেকে আরেক দোকানে দামের পার্থক্য ও বেশ। কারও কথা শুনছেনা কেউ। সব যেন মগের মুল্লুক। হাত বদল হওয়ার সাথে সাথে হালি প্রতি বেড়ে যাচ্ছে পাঁচ থেকে সাত টাকা। কোনরকম নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা করছে না তারা। এদিকে হাহাকার করছে খামারিরা। অনেকের খামারের ডিম খামারেই নষ্ট হচ্ছে। কথা দিয়েও ব্যবসায়ীরা কিনছে না তাদের ডিম। আশায় আশায় লোকসান গুণছে খামারিরা। অধিক দামে ফিড কিনে বেচতে হচ্ছে কমদামে। দাম অধিক থাকায় চাহিদা কমে গেলেও ব্যবসায়িদের অসুস্থ প্রতিযোগিতা বাড়ছেই।
আজ শুক্রবার (১৯ আগস্ট) উপজেলার সদর, ফান্দাউক, নাসিরপুর ও চৈয়াকুড়ি বাজারে সরেজমিন ঘুরে দেখে বাজারের অস্থির চিত্রটি ফুটে উঠে। দামের অসামঞ্জস্যতা আর ব্যবসায়ীদের অসম প্রতিযোগিতায় সাধারণ ক্রেতারা দিশেহারা। এর ফলে বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতার মাঝে হৈহল্লা একটি সাধারণ দৃশ্য। ৪৬ থেকে ৫২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে ফার্মের লাল-সাদা ডিম। কোথাও ৪৭, কোথাও ৪৯ কোথাও ৫২ এভাবে হাত বদলেই বাড়ছে ডিমের দাম।
খামারি কাউসার বলেন, আমাদের বিক্রি করতে হচ্ছে ৪০/৪২ টাকায়। যেখানে খাবার খরচই পড়ছে ৪৪ টাকা। অনেক সময় ডিম বিক্রি করতে পারছিনা।
আসাদ মিয়া বলেন, এক ধরনের অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে কাটছে দিন। কোন হিসাব মিলাতে পারছিনা। ব্যবসায়ী সিদ্দিক বলেন, আমরা কি করবো? আমাদের কিনতেই হচ্ছে ৪৬ টাকায়। ৫০ টাকা না বেচলে পোষবে কেমনে?
ক্রেতা সুজীত বলেন, সকালে একদাম রাতে আরেক দাম। এ যেন গ্যারাকলে পড়েছি আমরা। ফারুক জানান, ডিম বাজারের অস্থিরতায় ডিম কেনা অনেকটা ছেড়ে দিয়েছি।
ডিম বাজারের ক্ষণে ক্ষণে রং বদলে অস্থির ক্রেতারা কর্তৃপক্ষকে বাজার মনিটরিং করার আহবান জানিয়েছেন।