দেশে বাড়ছে লোডশেডিং। বিশেষ করে উত্তরের সর্বশেষ জেলা নীলফামারীর চিলাহাটিতে সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত কিছুক্ষণ পর পর চলে যায় বিদ্যুৎ। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৮ ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকে না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। হঠাৎ করে কোনো ঘোষণা ছাড়াই শুরু হয়েছে ঘন ঘন লোডশেডিং। তাও আবার এক-দুদিন নয়, টানা পাঁচদিন ধরে এ অবস্থা চলছে।
অসহনীয় এই লোডশেডিংয়ের কবল থেকে পরিস্থিতি কবে নাগাদ স্বাভাবিক হবে- তার কোনো সদুত্তরও নেই বিদ্যুৎ বিভাগের কাছে।
তবে গ্যাস ও ডিজেল সংকটের কারণে দেশের অন্যান্য জায়গার মতো রংপুর বিভাগেও ঘন ঘন লোডশেডিং হচ্ছে বলে দাবি করছেন সংশ্লিষ্টরা। সাধারণ মানুষসহ সচেতন মহল বলছে, চলমান পরিস্থিতিতে সারা দেশের মধ্যে রংপুর বিভাগে সবচেয়ে বেশি লোডশেডিং দেওয়া হচ্ছে। যা একেবারে অসহনীয় পর্যায়ে ঠেকেছে। শুধু জীবনই অতিষ্ঠ নয়, এর প্রভাব ছোট-বড় কলকারখানা ও ব্যবসায় পড়তে শুরু করেছে।এ দিকে লোডশেডিংয়ের সঙ্গে যোগ হওয়া প্রচণ্ড গরমে হাপিতাস করছে পুরো বিভাগ। স্থবির হয়ে পড়েছে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ ছোট বড় শত শত কলকারখানা। ব্যঘাত ঘটছে উৎপাদন কার্যক্রমে। এদিকে ঈদের আগে ঘনঘন লোডশেডিং হওয়ায় বেচাকেনায় প্রভাব পড়ায় বিপাকে দোকানিরা।
রংপুর বিদ্যুৎ বিভাগের নর্দার্ন ইলেক্ট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি (নেসকো) সূত্র বলছে, জাতীয় গ্রিড থেকে চাহিদার তুলনায় অনেক কম বিদ্যুৎ পাওয়ায় ঘন ঘন লোডশেডিং দিতে হচ্ছে। অবস্থা স্বাভাবিক হতে কত দিন সময় লাগবে তা জানাতে পারেননি কোনো কর্মকর্তা।