রহনপুর পৌর এলাকার একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান নিমতলা মোড় । রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন এ জায়গাটি সবসময় জমজমাট থাকে। বিশেষ করে সন্ধ্যা হলে এলাকার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ সেখানে আড্ডা জমায়। চায়ের দোকান কলাইয়ের রুটির দোকানসহ বিভিন্ন খাবারের দোকান প্রায় সারারাতই জমজমাট থাকে । আমের সিজন হওয়ায় এবং আমের বাজার পাশে থাকায় এখন রমরমা অবস্থা। দেখলে বোঝায় যাবে না শত শত মানুষের ভিড়ে কিছু অপরাধী ঘুরে বেড়াচ্ছে। পাশেই রয়েছে বিখ্যাত শান্তি পাড়া । আর এই শান্তি পাড়াকে ঘিড়েই অপরাধী চক্র রয়েছে সক্রিয়। শান্তি পাড়ার বিভিন্ন বাড়িতে চলে দেহ ব্যবসা ও মাদক কেনাবেচা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তির সাথে কথা বলে জানা গেছে,ওই পাড়ায় কয়েকটি বাড়িতে অনৈতিক কার্যকলাপ চলে। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে পতিতারা এসে এখানে দালাল চক্রের মাধ্যমে দেহ ব্যবসায় যুক্ত হয়।
কয়েকজন দেহ ব্যবসায়ী বাড়ির মালিকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে,দীর্ঘদিন ধরে এ পেশায় আমার মা বাবারা জড়িত রয়েছে। আর এটা আমাদের আয়ের একমাত্র উৎস,এগুলো করে মোটা অংকের টাকা উপর্জন করা যায়। তাই আমরাকেও অল্প বয়স থেকেই এ পেশায় জড়িত হতে তারাই বাধ্য করেছে।
বিভিন্ন জায়গা থেকে আগত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দেহ ব্যবসায়ীর সাথে কথা হয়। তাদের বক্তব্য আর্থিক অনটন আর পরিবারের উপর্জনক্ষম ব্যক্তি না থাকায় তারা এ পেশায় জড়িত হয়েছে।
এলাকার অনেক তরুণ যুবক দালালদের ফাঁদে পা দিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়ছে।তাঁরা এমন কাজ করতে গিয়ে মোবাইল ও টাকা হারিয়ে আসে। কারণ তাদের সর্বস্ব লুটে নেয় দেহ ব্যবসায়ীরা। এজন্য সঙ্কায় রয়েছে অভিভাবক মহল। দিনের বেলা হোক আর সন্ধ্যার পরে হোক ওইসব পতিতারা বিভিন্ন সাজে সজ্জিত হয়ে নিমতলা , রেলওয়ে স্টেশন চত্বর এলাকায় গ্রাহক সংগ্রহে ঘুরে বেড়ায়।
গোমস্তাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ দিলীপ কুমার দাস বলেন,'শান্তি পাড়ায় অসামাজিক কার্যকলাপ ও মাদক কেনাবেচার বিষয়টি আমাদের গোচরীভূত রয়েছে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী প্রায় এখানে অভিযান পরিচালনা করে। অনৈতিক কার্যকলাপ বেড়ে গেছে। এ প্রসঙ্গে তার সামনে উত্থাপন করা হলে তিনি বলেন, রহনপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জের মাধ্যমে দ্রুত জোড়ালো অভিযান পরিচালনা করা হবে।'