কোরবানীর পশু জবাই থেকে শুরু করে মাংস কাটাতে প্রয়োজন হয় নানা ধরনের অস্ত্র। তবে এ বারে জয়পুরহাটের কর্মকারশালাগুলোতে নেই তেমন কোন বেচাকেনা। তবুও আশায় বুক বেধে আছে কর্মকাররা। তারা ভাবছেন, ঈদের শেষের দিনগুলোতে বাড়বে বেচাকেনা।
গত বছরের জেলা বিসিক তথ্যানুসারে, এ জেলায় ১৩২টি কর্মকারশালা ও ৩৭৫ জন ব্যবসায়ী রয়েছে। কিন্তু স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জেলার বিভিন্ন গ্রাম-গঞ্জে প্রায় ২ হাজার কারিগররা এ কাজ করেন। তবে এ বছরে সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোতে কর্মকারশালা ও কর্মশালার সুনিদিষ্ট তথ্য নেই। বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের বটি ২০০-৫০০ টাকা, চাকু ৩০-৫৫০ টাকা, হাড্ডি কাটা দা ৩৫০-৫০০ টাকা, হাসুয়া ১০০-২৫০ টাকা। তারা বলছেন বিগত সময়ের তুলনায় কাঁচামালের দাম বাড়লেও অস্ত্রের দাম আগের মতোই রয়েছে।
জেলার ভাদসা ইউনিনের দূর্গাদহ বাজারের সুব্রত হার্ডয়্যার স্টোরের স্বত্বাধিকারী মদন কর্মকার বলেন, এ বছরে বেচাকেনা একেবারেই নেই। তবে প্রতিদিন ১হাজার টাকাও বিক্রি হয়নি। তবে আশা করছেন ঈদের ২/১দিন আগে একটু বেচাকেনা বাড়বে।
সরকারিভাবে নিবন্ধনের ব্যাপারে জানাতে চাইলে তিনি জানান, আমি নিবন্ধন সম্পর্কে তেমন কিছু জানি না। করোনা কালীন সময়ে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে আমাদের আইডি কার্ড চাওয়া হয়েছিল। তবে কি ব্যাপারে আইডি কার্ড নেওয়া হয়েছিল তা সঠিক জানা নেই।
এ ব্যাপারে স্থানীয় কর্মকার প্রদীপ ও রমজানের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, এ পেশায় দিনকাল ভালো যাচ্ছে না। ভবিষ্যতে এ পেশায় সহজে কেউ আসতে চাইবে না। কারণ, সরকারি পৃষ্টপোষকতার অভাব, অস্ত্রপাতি তৈরীতে রয়েছে আধুনিক ছোঁয়া। সরকারের কাছে তাদের দাবি এ শিল্পের প্রতি সু-নজর দেওয়া হোক।
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) এর জয়পুরহাটের উপ-ব্যবস্থাপক লিটন চন্দ্র ঘোষ বলেন, চলতি বছরে একজন কর্মকার নিবন্ধনভূক্ত হয়েছে। তবে নিবন্ধনের ব্যবস্থা থাকলেও তাদের নেই কোন আগ্রহ। বিসিকের প্রশিক্ষণ এবং নিবন্ধন থাকলে আর্থিক সহায়তা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বিসিকের নিজস্ব ঋণ কর্মসূচি এবং কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে অগ্রাধিকার পাবে।
গত বছরের তথ্যানুসারে, জেলায় সম্ভব্য ১৩২টি কর্মকারশালা আছে এবং ৩৭৫ জন কর্মকাররা রয়েছে। তবে এ বছরে কর্মকারশালা ও কর্মকারদের তথ্য হালনাগাদ নেই বলে জানান তিনি।