× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

শেরপুরে ৩২ মণ ওজনের চিরকুমার, দাম ১০ লাখ টাকা

শেরপুর প্রতিনিধি

০৫ জুলাই ২০২২, ০৪:৪৩ এএম

এবারের ঈদে শেরপুর সদর উপজেলায় প্রায় ৩২ মণ ওজনের চিরকুমার নামে একটি ষাড়ের দাম হাঁকা হচ্ছে ১০ লাখ টাকা। উপজেলার বাজিতখিলা ইউনিয়নের কুমরী মুদিপাড়া গ্রামের কৃষক ইব্রাহিম মিয়া প্রায় সাড়ে ৪ বছর আগে কালো-সাদা মিশ্রণের ষাঁড়টি ১ লাখ টাকায় কিনে লালন-পালন করেছেন। আদর করে তিনি হলষ্টেইন-ফ্রিজিয়ান জাতের এই ষাঁড়টির নাম রেখেছেন ‘চিরকুমার’। এই কয়েক বছরে ষাঁড়টির লালন পালন করতে গিয়ে মায়ায় জড়িয়ে পড়েছেন ওই কৃষক। তারপরও এবারের কোরবানির হাটে আদরের ‘চিরকুমার’কে বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। এজন্য তিনি দাম হেঁকেছেন ১০ লাখ টাকা।

কৃষক ইব্রাহিম জানান, এই সাড়ে চার বছরে ষাঁড়টি তার ভীষণ প্রিয় একজন সঙ্গীতে পরিণত হয়েছে। ‘চিরকুমার’ তাকে দেখলে খুশিতে পাগল হয়ে যায়। তিনিও ‘চিরকুমার’কে ছাড়া থাকতে পারেন না। তিনি বলেন, বিক্রি করতে মন চায় না। কিন্তু চিকিৎসকরা বলছেন এ জাতের গরু সাড়ে চার বছর পার হলে বেশ ঝুঁকি থাকে। কারণ এর ওজন প্রায় ১৩০০ কেজি। মোটা বেশি হলে মানুষের মত গরুর নানা সমস্যা হয়। তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবারের কোরবানির ঈদেই বিক্রি করবো চিরকমুারকে।

ওই কৃষক জানান, চিরকুমারকে গম-ভুট্টার ভুসি, খড় ও ঘাস খাইয়ে পালন করা হয়েছে। প্রতিদিন ষাঁড়টির ৬০০- ৮০০ টাকার খাবার লাগে। তিনবেলা গোসল করানো হয়। গোয়ালঘরে একটি ফ্যান দিয়ে ষাঁড়টিকে গরম থেকে রক্ষা করা হয়। মোটা-তাজা করার জন্য ‘চিরকুমার’কে কোন ওষুধ খাওয়ানো হয়নি। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক খাবার দিয়েই বাড়িতে রেখেই ষাঁড়টিকে বড় করে তোলা হয়েছে। অনেক ওজন হওয়ায় ষাঁড়টিকে বাড়ি থেকে বের করা যায় না বলেও জানান তিনি।

ইব্রাহিম মিয়া বলেন, ‘চিরকুমারে’র জন্য ১০ লাখ টাকা দাম চাইছি। বাকিটা নির্ভর করছে ক্রেতাদের ওপর। এখন পর্যন্ত গরুর পাইকার ও অনেক ক্রেতা ৮ লাখ টাকা পর্যন্ত দাম দিতে চেয়েছেন ষাঁড়টির। তিনি জানান, হাটে নিয়ে ষাঁড়টি বিক্রি করা ইচ্ছে নেই তার।

খামারি ও পাইকাররা জানান, নিত্যপণ্য ও গো খাদ্যের দাম বৃদ্ধির প্রভাব কোরবানির বাজারে পড়েছে। তাই গতবারের তুলনায় একেকটি গরুর দাম ৫- ৬ হাজার টাকা করে বেড়েছে। তবে কৃষক ইব্রাহিম বলেন, খরচ অনুযায়ী ষাঁড়ের দাম বেশি না।

জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, কৃষক ইব্রাহিম প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে ষাঁড়টি বড় করেছেন। এখন ষাঁড়টির বয়স সাড়ে ৪ বছর। এটি অনেক মোটা । তিনি বলেন, এ ধরনের ষাঁড় সাড়ে চার বছর হলে ছেড়ে দেওয়াই ভাল। কারণ মানুষ মোটা হলে যেমন উচ্চ রক্তচাপসহ নানা সমস্যা হয়, একই ভাবে গরু মোটা হলেও বিভিন্ন জটিলতা দেখা দেয়।

জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এ বছর জেলায় কোরবানির জন্য পশুর চাহিদা ৫৫ হাজার ৪৬৫টি। বিপরীতে জেলায় কোরবানিযোগ্য পশুর সংখ্যা রয়েছে ৮৪ হাজার ৪১৭টি।


 



Sangbad Sarabela

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । 01894-944220 । [email protected], বিজ্ঞাপন: 01894-944204

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.