ফরিদপুরের সালথায় চলতি বছর প্রায় ৮ হাজার কৃষক ৮৮০ হেক্টরের বেশি জমিতে গমের চাষ করেছে। যা গত ৩০ বছরের রেকর্ড অতিক্রম করেছে। এ থেকে বোঝা যাচ্ছে এ অঞ্চলে গমের চাষের পরিমান বৃদ্ধি পেয়েছে। বিগত দিনে গমের চাষ কমে গেলেও গত মৌসুম থেকে গম চাষীদের আগ্রহ বেশি দেখা যাচ্ছে।
২০২১-২২ অর্থ বছরে ৭৯২ হেক্টর জমিতে গমের চাষ হয়েছিল যেখানে লক্ষ্যমাত্রাও অর্জিত হয়নি। এ বছর সরকারি প্রণোদনা বৃদ্ধি, পেঁয়াজের দরপতন ও পেঁয়াজ চাষে খরচ বৃদ্ধির ফলে চলতি মৌসুমে উপজেলায় বেড়েছে গমের চাষ। উপজেলা কৃষি অফিস হতে এমন তথ্যই পাওয়া গেছে।
সরেজমিনে একাধিক গম চাষীর সাথে কথা হলে তারা জানায়, উপজেলায় পেঁয়াজ চাষে কৃষকের আগ্রহ বেশি, তবে গত কয়েক মৌসুমে পেঁয়াজের দামের দরপতন, পেঁয়াজ চাষে কৃষকের খরচ বৃদ্ধি, অসময়ে বৃষ্টির ফলে কৃষক পেঁয়াজের পরই লাভবান ফসল হিসেবে গম চাষের দিকে ঝুকেছে। গম চাষে লাভ কম হলেও গম চাষে কৃষকের তেমন কোন লোকসানে পড়তে হয় না। গম সারা বছর সংরক্ষণ করা যায়। এছাড়াও গম চাষ কিছুটা কষ্টকর হলেও কৃষির আধুনিকায়নে গম কাটা থেকে শুরু করে মাড়াই করা পর্যন্ত সমস্ত প্রক্রিয়া মুহুর্তে হয়ে যাওয়ায় গম চাষে আগ্রহ বাড়ছে চাষিদের।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সুদর্শন সিকদার বলেন, কৃষির আধুনিকায়ন ও পেঁয়াজে লোকসানের কারণে উপজেলার কৃষকদের মাঝে গম চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। চলতি মৌসুমে প্রায় ৮শ ৮০ হেক্টর জমিতে গমের চাষ হয়েছে। এবছর গম চাষে আমাদের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। গম চাষে প্রণোদনা হিসেবে ৪শ জন কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে গমের বীজ ও রাসায়নিক সার প্রদান করা হয়েছে।
তাছাড়া আমাদের উপ-সহকারী কৃষি অফিসারগন নিয়মিত খোঁজ খবর নিচ্ছেন। যেকোন ফসল উৎপাদনে উপজেলা কৃষি অফিস কৃষকের পাশে আছে।