× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে বিজয়ী হলেন যারা

জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি

০৯ মে ২০২৪, ১৮:২৬ পিএম । আপডেটঃ ০৯ মে ২০২৪, ২০:২৪ পিএম

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে সার দেশের ১৩৯টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত বুধবার (৮ মে) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা চলে এই ভোটগ্রহণ। এরপর শুরু হয় গণনা। গণনা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফল ঘোষিত হতে থাকে।  

নির্বাচনে ঘোষিত ফলাফলে যারা বিজয়ী হয়েছেন জনপ্রিয় জাতীয় পত্রিকা দৈনিক সংবাদ সারাবেলার জেলা ও উপজেলার প্রতিনিধিদের পাঠানো সংবাদে নিচে তাদের তালিকা তুলে ধরা হলো।

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার ঘোষিত বেসরকারি ফলাফল অনুযায়ী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আনারস প্রতীকের মাকসুদ হোসেন৷ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন মাইক প্রতীকের মোঃ আলমগীর এবং ভাইস চেয়ারম্যান( মহিলা) পদে পুনরায় বিজয়ী হয়েছেন ফুটবল প্রতীকের ছালিমা শান্তা।

রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা কাজী ইস্তাফিজুল হক আকন্দ বুধবার (৮ মে) রাত সাড়ে নয়টার দিকে এ ফলাফল ঘোষণা করেন৷

বন্দর উপজেলার ৫৪ টি কেন্দ্রে বুধবার সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ হয়।রাত সাড়ে নয়টার দিকে ফলাফল ঘোষনা হয়।

ফলাফল অনুযায়ী জেলা জাতীয় পার্টির সহ সভাপতি ( বহিস্কৃত) মাকসুদ হোসেন ২৯ হাজার ৮৭৩ ভোট পেয়েছেন৷ তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি, দোয়াত-কলম প্রতীকের এমএ রশিদ ১৪ হাজার ৮৩৮ ভোট পেয়েছেন৷ রশিদ গতবার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় চেয়ারম্যান নির্বাচন হন৷এছাড়া, দুইবারের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি (বহিষ্কৃত) চিংড়ি প্রতীকের প্রার্থী আতাউর রহমান মুকুল ১২ হাজার ৬২২ ভোট এবং মাকসুদের ছেলে হেলিকপ্টার প্রতীকের প্রার্থী মাহমুুুুদুল হাসান ২৫৫ ভোট পেয়েছেন৷

ভাইস চেয়ারম্যান পদে মো. আলমগীর ১৭ হাজার ৬০৬ ভোট পেয়েছেন৷ তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী গত দুইবারের ভাইস চেয়ারম্যান সানাউল্লাহ সানু (জাতীয় পার্টি) ১৭ হাজার ১ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন৷ অপর দুই প্রার্থী টিউবওয়েল প্রতীকের শাহিদুল ইসলাম জুয়েল (স্বতন্ত্র) ১৩ হাজার ৪২৮ ভোট এবং তালা প্রতীকের মোশাঈদ রহমান (স্বতন্ত্র) ৮ হাজার ৪০৬ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন৷

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী ছালিমা হোসেন পেয়েছেন ২৯ হাজার ৪৫৬ ভোট৷ কলস প্রতীকের প্রার্থী মাহমুদা আক্তার ২৬ হাজার ২৮৪ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন৷

উপজেলায় ৪৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ ভোট পড়েছে জানিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা জানান, উপজেলার ৫৪টি কেন্দ্রে মোট ভোটার ছিলো ১ লাখ ৩১ হাজার ৫৬৪ জন৷

জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ -৫ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব সেলিম ওসমান(জাতীয় পার্টি), নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান( আওয়ামীলীগ) , সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা(জাতীয় পার্টি), জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হাই,সাধারন সম্পাদক আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদ বাদল, মহানগর সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহার মনোনীত প্রার্থী ছিলেন আব্দুর রশিদ। আব্দুর রশিদকে গতবার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত করা হয়। এবারও একই কায়দায় চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে উল্লেখিত নেতৃবৃন্দ দুই বারের সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল,সদ্য বিজয়ী চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেনকে প্রকাশ্যে মাইকযোগে সমালোচনা করেছেন।মনোনয়ন দাখিল থেকে শুরু করে ভোট গ্রহনের দিন পর্যন্ত মাকসুদ ও মুকুলের কর্মী,সমর্থকদের উপর আব্দুর রশিদের লোকজন হামলা করেছে।

রামগড় (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি

খাগড়াছড়ির রামগড়ে  ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিশ্ব প্রদীপ কুমার কারবারী বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। আনারস প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ১৩ হাজার ৮৪৩ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রার্থী ছিলেন পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের। দোয়াতকলম প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ৮ হাজার ৪৪৭ ভোট। ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোবারক হোসেন বাদশা ১০ হাজার ৯শ ৭১ ভোট ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক  নাছিমা আহসান নীলা ১৬ হাজার ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

লোহাগড়া (নড়াইল) প্রতিনিধি

নড়াইলের কালিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে চিংড়ি মাছ প্রতিক নিয়ে খান শামিম রহমান ওসি চিংড়ি মাছ প্রতিক নিয়ে ৩০,৪৬৩ ভোট পেয়ে বে-সরকারী ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন দোয়াত কলম প্রতিকের এস এম নাজমুল হক প্রিন্স। তিনি দোয়াত-কলম প্রতিক নিয়ে ১৬৮৬২ ভোট পেয়েছেন। 

এছাড়া, চেয়ারম্যান পদে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান কৃষ্ণপদ ঘোষ মোটরসাইকেল প্রতিক নিয়ে ১১৪৭৫ ভোট, মো: মাহমুদুল হাসান কায়েস ঘোড়া প্রতিক নিয়ে ১০৪০৭ ভোট, এস এম হারুন অর রশিদ আনারস প্রতিক নিয়ে ৭৪৬০ ভোট পেয়েছেন। 

কালিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে মো: মাহাবুবুল আলম উড়োজাহাজ প্রতিক নিয়ে ১৯৫৭৭ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো: ইব্রাহিম শেখ মাইক প্রতিক নিয়ে ১৬০৯০ ভোট পেয়েছেন।

ভাইস চেয়ারম্যান (মহিলা) পদে ববিতা বেগম ফুটবল প্রতিক নিয়ে ৪২৪৭৯ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিউটি আক্তার ১৯৩৫৬ ভোট পেয়েছেন। 

বুধবার (৮ মে) সকাল ৮ টা থেকে কালিয়া উপজেলার ৮২টি ভোট কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচন চলাকালে কোথাও কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে নাই।

ভোট গণনা শেষে রাত সাড়ে ১০টায় জেলা রিটার্নিং অফিসার শ্বাশতী শীল বেসরকারি ভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন।

উল্লেখ্য, একটি পৌরসভা এবং ১৪ টি ইউনিয়ন নিয়ে কালিয়া উপজেলা গঠিত। ওই উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৯৭ হাজার ২০৯ জন। এর মধ্যে  ৭৯১৯৬ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। ভোটের শতকরা হার ৪০.১৬%। ৮২টি কেন্দ্রে এই ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।  

জয়পুরহাট প্রতিনিধি

জয়পুরহাটের তিনটি উপজেলার কালাই উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিনফুজুর রহমান মিলন মোটর সাইকেল মার্কায় ৪২ হাজার ৪৫৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হন। তাঁর নিকটতম প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক তৌফিকুল  ইসলাম তালুকদার বেলাল আনারস মার্কায় ৩০ হাজার ৯৪৩ ভোট পেয়েছেন।

এদিকে, ক্ষেতলাল উপজেলায় ক্ষেতলাল পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি দুলাল মিয়া সরদার দোয়াত কলম মার্কায় ৩০ হাজার ৪০০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।  তাঁর নিকটতম প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা তাইফুল ইসলাম তালুকদার আনারস মার্কায় ২২ হাজার ৯০০ ভোট পেয়েছেন। 

এদিকে, আক্কেলপুর উপজেলায় জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মোকছেদ আলী মন্ডল মোটর সাইকেল মার্কায় ১৯ হাজার ৫৩৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রার্থী ওয়ার্কার্স পার্টি নেতা নুরুন্নবী আরিফ আনারস মার্কায় ৩ হাজার ১৮৮ ভোট পেয়েছেন।

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

কুড়িগ্রামের ৩টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বেসরকারি ফলাফল পাওয়া গেছে।  চিলমারীতে মো: রুকুনুজ্জামান শাহিন আনারস প্রতীক নিয়ে ২৮ হাজার ১৯৪ ভোট পেয়ে দ্বিতীয়বার বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি রেজাউল করিম লিচু কাপ পিরিচ নিয়ে পেয়েছেন ১১ হাজার ৫৮৪ ভোট। তিনি ১৬ হাজার ৬১০ ভোটে পরাজিত হয়েছেন।

রৌমারী উপজেলায় মো: শহিদুল ইসলাম শালু কাপ পিরিচ প্রতীক নিয়ে ২৪ হাজার ৫০৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মজিবর রহমান বঙ্গবাসী টেলিফোন প্রতীকে পেয়েছেন ২৪ হাজার ২৫৩ ভোট। বঙ্গবাসী ২৫১ ভোটে পরাজিত হয়েছেন।

অপরদিকে চর রাজিবপুর উপজেলায় মো: শফিউল আলম আনারস প্রতীকে ১৭ হাজার ৭৪৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আরিফুর রনি তালুকদার রানা ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ১৭ হাজার ৩৮৬ ভোট। তিনি ৩৬০ ভোটে পরাজিত হন।

নরসিংদী প্রতিনিধি

প্রথম ধাপে নরসিংদীর দুই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের বে-সরকারী ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল বুধবার (৮ এপ্রিল) রাত ১১টায় জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এবং উপজেলা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা রবিউল আলম এই ঘোষণা দেন। নরসিংদী সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে আনোয়ার হোসেন কাপ-পিরিচ প্রতিক নিয়ে ৭২হাজার ৩১০ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আব্দুল বাকির আনারস প্রতিকে পেয়েছেন ৫০ হাজার ৯১৫ ভোট । আনোয়ার হোসেন নরসিংদী জেলা আওয়ামীলীগের কার্যকরী সদস্য এবং সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন।

এছাড়া পলাশ উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে বে-সরকারী ভাবে তৃতীয়বারের মত নির্বাচিত হয়েছেন পলাশ উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি সৈয়দ জাবেদ হোসেন। কাপ-পিরিচ প্রতিক নিয়ে সৈয়দ জাবেদ হোসেন পেয়েছেন ৩১হাজার ৩৪৩ ভোট। নিকটতম 

প্রতিদ্বন্দ্বী দোয়াত-কলম প্রতিক নিয়ে ঘোড়াশাল পৌর সভার সাবেক মেয়র এবং পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি শরীফুল হক পেয়েছেন ৩০ হাজার ৯৬৮ ভোট। 

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

তিন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দুটিতে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও একটিতে নতুন প্রার্থী জয়ী হয়েছেন।

বিজয়ীরা হলেন, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় বর্তমান চেয়ারম্যান মো. রিয়াজ উদ্দিন, কাজিপুরে খলিলুর রহমান সিরাজী ও বেলকুচিতে ইঞ্জিনিয়ার আমিনুল ইসলাম সরকার।

বেসরকারি ফলাফলে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার ১৭১টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে সবকটির ফলাফলে মো. রিয়াজ উদ্দিন ৪৭ হাজার ৮৯৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বদ্বী জেলা যুবলীগের আহবায়ক রাশেদ ইউসুফ জুয়েল পেয়েছেন ৪৩ হাজার ৯৮৪ ভোট। রিয়াজ উদ্দিন ৩ হাজার ৮২৩ ভোট বেশি পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।

কাজিপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদ আবারও বিজয়ী হয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান সিরাজী। এ উপজেলার ১২২টি কেন্দ্রের ফলাফলে আনারস প্রতিকে খলিলুর রহমান সিরাজী ৪৫ হাজার ১৩১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আশরাফুল আলম ঘোড়া প্রতীক ভোট পেয়েছেন ২৭ হাজার ৬৮৪ ভোট।

অপরদিকে বেলকুচি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বেসরকারি ফলাফলে বিজয়ী হয়েছেন মোহাম্মাদ আমিনুল ইসলাম সরকার। তিনি দোয়াত কলম প্রতীকে পেয়েছেন ৫৪ হাজার ৮৪১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোটর সাইকেল প্রতীকের প্রার্থী বদিউজ্জামান ফকির পেয়েছেন ৪৯  হাজার ৩৫৭ ভোট।

বুধবার (৮ মে) রাত ১০টায় সিরাজগঞ্জ জেলা রিটার্নিং কর্মকর্কতা ও জেলা নির্বাচন অফিসার মো. শহিদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি

মৌলভীবাজারে প্রথম ধাপে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কুলাউড়া উপজেলায় শান্তিপূর্ণ ভাবে অনুষ্টিত হয়েছে। গোলযোগ ছাড়াই ভোট গ্রহন সম্পন্ন হয়। এতে চেয়ারম্যান পদে দোয়াত কলমের প্রার্থী ও বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ফজলুল হক খান সাহেদ, ভাইস চেয়ারম্যান পদে চশমা প্রতীকের প্রার্থী রাজকুমার কালোয়ার রাজু ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী নেহার বেগম নির্বাচিত হয়েছেন।

বুধবার (৮ মে) রাত ১১টার দিকে উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে এই তিন পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের ফলাফল বেসরকারিভাবে ঘোষণা করেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আবুল বাশার।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মেহেদী হাসান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ একেএম সফি আহমদ সলমান, থানার ওসি মো. আলী মাহমুদ, পরিদর্শক (তদন্ত) ক্যশৈনু প্রমুখ।

ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী চেয়ারম্যান পদে মাও. ফজলুল হক খান সাহেদ দোয়াত কলম প্রতীকে ৩৭ হাজার ৫৫৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসম কামরুল ইসলাম কাপ-পিরিচ প্রতীকে পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৮৫২ ভোট।

এ ছাড়া আরও দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি রফিকুল ইসলাম রেনু আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ১৭ হাজার ২৯৮ ভোট ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি কামাল হাসান মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৫ হাজার ৫৮৪ ভোট।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে রাজকুমার কালোয়ার রাজু চশমা প্রতীকে ৩১ হাজার ৩৮২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ময়নুল ইসলাম সবুজ টিউবওয়েল প্রতীকে পেয়েছেন ৩০ হাজার ৪৮৪ ভোট।

এ ছাড়া অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে আফজাল হোসেন সাজু বই প্রতীকে পেয়েছেন ১৬ হাজার ৯৯০ ভোট, মো. সাইফুল ইসলাম কুতুব তালা প্রতীকে পেয়েছেন ১৪ হাজার ৭৭৭ ভোট ও পূরণ উরাং টিয়া পাখি প্রতীকে পেয়েছেন ৫৬১ ভোট।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নেহার বেগম ফুটবল প্রতীকে ৭১ হাজার ৪৬৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান চেয়ারম্যান ফাতেহা ফেরদৌস চৌধুরী পপি হাঁস প্রতীকে পেয়েছেন ২১ হাজার ৬১৬ ভোট।

এর আগে, কেন্দ্রগুলো ঘুরে দেখা গেছে ভোটার উপস্থিতি আশানুরূপ ছিলো না। বিভিন্ন কেন্দ্রের ভোটারদের  সাথে কথা বলে জানা যায়, সাধারণ ভোটারদের  ভোট প্রদানের আগ্রহ নেই বলে এমনটা হয়েছে। তবে চা-বাগান অধ্যুষিত কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মতো। ৪২-৫০% ভোট কাষ্ট হয়েছে।  যেখানে অনান্য কেন্দ্রে ছিলো ২৪-৩৫% এর মধ্যে। 

সকাল ৯টায় কুলাউড়া উপজেলার হলিছড়া সারকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গেলে ভোটারদের উপস্তিতি পরিলক্ষিত হয়নি। এসময় ভোটার লক্ষি রাউতিয়া বলেন, ভোট দিতে তেমন আগ্রহ নেই ৩জন ৪জন করে ভোটাররা আসছেন। 

দুপুর বেলা কুলাউড়া উপজেলার নবীন চন্দ্র সরকারি মডেল উচ্চবিদ্যালয়ে কেন্দ্রে গেলে একই চিত্র চোখে পড়ে। এসময় কথা হয় মিলন মিয়ার সাথে তিনি বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চেয়ে অনেক ভোটার উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে।  আমার মনে হয় এটি স্থানীয় নির্বাচন হওয়ায় ভোটার উপস্থিতি। তবে এই কেন্দ্রে সংক্ষা অনুযায়ী ভোটার উপস্থিতি কম ছিলো। 

ওই কেন্দ্রের দায়িত্ব থাকা প্রিজাইটিং অফিসার ইফতেখার হোসেন ভুইয়া দৈনিক সংবাদ সারাবেলাকে জানান, দুপুর ২টা পযর্ন্ত  মোট ভোটারের ২৪ শতাংশ ভোট প্রয়োগ হয়েছে।  

নোয়াখালী প্রতিনিধি

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান হিসেবে বিজয়ী হয়েছেন নোয়াখালী-৪ (সদর ও সুবর্ণচর) আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরীর ছেলে আতাহার ইশরাক শাবাব চৌধুরী।  

বুধবার (৮ মে) রাত পৌনে ১০টার দিকে জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা ও সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো.নওয়াবুল ইসলাম ফলাফলের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নির্বাচনে সুবর্ণচর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে আনারস প্রতীক নিয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন শাবাব চৌধুরী। তিনি পেয়েছেন ৩৭ হাজার ৬৪৮ ভোট। ৬১টি কেন্দ্রের ফলাফলে সাবাব চৌধুরী ৭০৩ ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দোয়াত কলম প্রতীকের প্রার্থী অধ্যক্ষ এ এইচ এম খায়রুল আনম সেলিম পেয়েছেন ৩৬ হাজার ৯৪৫ ভোট।

এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে মো.আবদুল্যাহ আল মামুন নির্বাচিত হন। তিনি পেয়েছেন ২৪ হাজার ২৯৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো.ফরহাদ হোসেন চৌধুরী বাহার পেয়েছেন ২৪ হাজার ৩৮ ভোট। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মুন্নী আহমেদ পেয়েছেন ৫৬ হাজার ৪১১ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আলেয়া বেগম পেয়েছে ৬হাজার ৩২৬ ভোট। সুর্বণচর উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে ভোটার সংখ্যা ২ লক্ষ ২৫ হাজার ১৮৮ জন। 

এদিকে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার ৬১টি কেন্দ্রে ব্যালটের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ সম্পূর্ন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরে রিটার্নিং কর্মকর্তা শাবাব চৌধুরীর হাতে বিজয়ী ফলাফলের সিট তুলে দেন।

মাদারীপুর প্রতিনিধি

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ১ম ধাপে মাদারীপুর সদরে চেয়ারম্যান পদে আসিবুর রহমান খান নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর চাচা পাভেলুর রহমান খানকে ১৪ হাজার ২৯২ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন তিনি। আসিবুর আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও মাদারীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য শাজাহান খানের বড় ছেলে।

জয়ী আসিবুর রহমান আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৭৫ হাজার ৫৯৪ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোটরসাইকেল প্রতীকে চাচা পাভেলুর রহমান খান পেয়েছেন ৬১ হাজার ৩০৩ ভোট। পাভেলুর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও শাজাহান খানের চাচাতো ভাই। গতকাল বুধবার ভোট গ্রহণ করা হয়। চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী ছিলেন এই দুজন। গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ১০টায় সদর উপজেলা পরিষদের মিলনায়তনে ফলাফল ঘোষণা করেন সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাচন কর্মকর্তা নাননী খান।

পাভেলুর রহমান খান একসময় তাঁর ভাই শাজাহান খানের সঙ্গেই রাজনীতি করতেন। ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে তাঁদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়। পাভেলুর রহমান ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে মাদারীপুর সদর আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন। দল থেকে শাজাহান খানকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। এরপর একবার কিছুদিনের জন্য দুই ভাই কাছাকাছি এসেছিলেন। তবে কয়েক বছর ধরে দূরত্ব দেখা দিয়েছে। একই পরিবারের অংশ হলেও পাভেলুর রহমান এখন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

মাদারীপুরের রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তার নিয়ে বাহাউদ্দিন নাছিমের সঙ্গে শাজাহান খানের দ্বন্দ্ব রয়েছে। বাহাউদ্দিন নাছিমের অনুসারী হওয়ায় জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পাভেলুর রহমানকে সমর্থন দেওয়া হয়। অন্যদিকে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের একাংশ আসিবুর রহমানকে সমর্থন দিয়ে প্রচার চালায়। এতে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে বিভেদ প্রকাশ্যে এসেছিল।

সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া জয়ী হয়েছেন। তালা প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৬০ হাজার ১০৫ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এইচ এম মনিরুজ্জামান আক্তার উড়োজাহান প্রতীকে পেয়েছেন ৪৭ হাজার ২০৪ ভোট। ১২ হাজার ৯০১ ভোট বেশি পেয়ে বেসরকারিভাবে ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া। এ ছাড়া মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে হাঁস প্রতীকে ফারিয়া হাসান জয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৫৬ হাজার ১৭৫ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফারজানা নাজনীন ফুটবল প্রতীকে পেয়েছেন ৪২ হাজার ১৯০ ভোট।

মাদারীপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আহমেদ আলী বলেন, সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আসিবুর রহমান খান, ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ফারিয়া হাসান বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। ফলাফল গেজেট করতে মন্ত্রণালয় ও নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হবে। পরে তা প্রকাশ করা হবে।

হোসেনপুর (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম ধাপে কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর  উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। 

বুধবার (৮ মে) সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোট গ্রহণ চলে। ভোট গ্রহণের পরই গণনা শুরু হয়। গণনা শেষে রাত ১০ ঘটিকার দিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার তাৎক্ষণিক ফলাফল ঘোষণা করেন। 

চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সোহেল এমকম (আনারস প্রতীক)। তিনি পেয়েছেন ২৩ হাজার ৯৬৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহ মাহবুবুল হক (মোটরসাইকেল প্রতীক) পেয়েছেন ১৭ হাজার ২৮৬ ভোট। ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন মো. আল আমিন অপু (টিউবওয়েল প্রতীক)। তিনি পেয়েছেন ৩৭ হাজার ৫৪১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শফি উদ্দিন সরকার বাচ্চু (চশমা প্রতীক) পেয়েছেন ২০ হাজার ৯১২ ভোট। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন ছাবিয়া পারভীন জেনি (কলস প্রতীক)। তিনি পেয়েছেন ৪৯ হাজার ৫২৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সেলিনা আক্তার (হাঁস প্রতীক) পেয়েছেন ১৩ হাজার ৯৪০ ভোট।

চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হওয়ার পর পর তাদের কর্মী সমর্থক ভোটাররা আনন্দ মিছিল ও আতশবাজির উল্লাসে মেতে ওঠেন।

কক্সবাজার প্রতিনিধি

কক্সবাজারের তিন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন নতুন ৩ মুখ ৷ এদের মধ্যে কক্সবাজার সদর উপজেলায় বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আবছার, কুতুবদিয়া উপজেলায় ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হানিফ বিন কাশেম এবং মহেশখালীতে নির্বাচিত হয়েছেন মো. জয়নাল আবেদীন।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে শোচনীয় পরাজিত হয়েছেন কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী এবং সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান। কক্সবাজার সদর উপজেলায় নুরুল আবছার তার প্রতিদ্বন্দ্বী আনারস প্রতীকের প্রার্থী মুজিবুর রহমানকে ৮ হাজার ৭৩৬ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন। মোটর সাইকেল প্রতীক নিয়ে নুরুল আবছার পেলেন ৩৬ হাজার ৫৩৬ এবং আনারস প্রতীকের জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান পেয়েছেন ২৭ হাজার ৮০০ ভোট। নুরুল আবছার বিজয়ী হন ৮ হাজার ৭৩৬ ভোটের ব্যবধানে ।

অপরদিকে, কুতুবদিয়া উপজেলায় ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হানিফ বিন কাশেম বিপুল ভোটের ব্যবধানে মটর সাইকেল প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী তাঁর চাচা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরীকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেছেন।  কাশেম পেয়েছেন ২৭ হাজার ২৪৯ ভোট। মোটরসাইকেল প্রতীকে ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী ভোট পান ৩ হাজার ৯৬৫।

মহেশখালীতে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দোয়াত কলম প্রতীক নিয়ে অংশগ্রহণ করে জয়নাল আবেদিন তিনি ভোট পেয়েছেন ৩৮ হাজার ১ শত ২৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী টুপি মার্কার প্রার্থী হাবিব উল্লাহ হাবিব পেয়েছেন ৩৫ হাজার ৮শত ৫৯ ভোট।

কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী এবং সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে  শোচনীয় পরাজিত হয়েছেন। নির্বাচনে দুইজনই চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।

বুধবার (৮ মে) নির্বাচন কমিশন ঘোষিত ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে কক্সবাজার জেলার ৩ টি উপজেলায় ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সম্পন্ন হয় ভোট গ্রহণ। বুধবার ভোটগ্রহণ শেষে রিটার্নিং কর্মকর্তা বেসরকারিভাবে তিন চেয়ারম্যান প্রার্থীকে  বিজয়ী ঘোষণা করেন।

কক্সবাজার জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সুষ্ঠু ও শন্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে । প্রশাসনের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করায় কোনো ধরণের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়নি। ভোট কেন্দ্রগুলোতে পুরুষের চেয়ে নারী ভোটারদের উপস্থিত ছিলো বেশি।

নরসিংদী প্রতিনিধি

কেন্দ্রের বাইরে কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ পরিবেশে শেষ হয়েছে প্রথম ধাপে নরসিংদীর দুই উপজেলা সদর ও পলাশ উপজেলা পরিষদের ভোটগ্রহণ (২০২৪)। তুলনামূলক ভোটার উপস্থিতি কম হলেও কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে ভোটগ্রহণ ছিল অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ।

সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মোট ৪ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এছাড়া পলাশ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে তিনজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুইজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

বুধবার (৮ মে) সকাল ৮টা থেকে টানা বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ শেষে স্ব-স্ব কেন্দ্রে ফলাফল ঘোষণা করেন প্রিসাইডিং অফিসার। পরে রাতে উপজেলা পরিষদে সব কেন্দ্রের সম্মিলিত ফলাফল ঘোষণা করেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসার।

ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী নরসিংদী সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে কাপ পিরিচ প্রতিকে ৭২ হাজার ৩১০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমান কার্যকরী কমিটির সদস্য মো: আনোয়ার হোসেন।

তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি শীলমান্দি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল বাকির আনারস প্রতিকে পেয়েছেন ৫০ হাজার ৯১৫ ভোট।

এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন মো: ওয়ালিউর রহমান (মাইক) ৩৫ হাজার ১১৫ ভোট। তার নিকটতম কফিল উদ্দিন (টিয়াপাখি) পেয়েছেন ৩৪ হাজার ৯০ ভোট। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বিজয়ী হয়েছেন আঞ্জুমান বেগম (কলস) ৫১ হাজার ৯২৭ ভোট পেয়ে। তার নিকটতম সোহানা আক্তার (ফুটবল) পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৮৯৯ ভোট। নরসিংদী সদর উপজেলায় মোট ভোটার ৫ লাখ ৩৭ হাজার ৫৫৯ জন। এরমধ্যে ২৩.৭৪১২ শতাংশ ভোট পড়েছে।

অপরদিকে নরসিংদী পলাশ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে কাপ পিরিচ প্রতিকে ৩১ হাজার ৩৪৮ ভোট পেয়ে তৃতীয়বারের মত বিজয়ী হয়েছেন পলাশ উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ জাবেদ হোসেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি ঘোড়াশাল পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি, পৌরসভার ২ বারের সাবেক মেয়র মো: শরীফুল হক (এমপির শ্যালক) দোয়াত কলমে পেয়েছেন ৩০ হাজার ৯৭৬ ভোট।

এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন ক্বারী উল্লাহ সরকার (বই) ২৮ হাজার ৬৮৩ ভোট। তার নিকটতম সাইফুল ইসলাম গাজী (চশমা) পেয়েছেন ১৯ হাজার ৮৬৭ ভোট। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সেলিনা বেগম (কলস) ৩৫ হাজার ১১৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম নাসিমা সুলতানা (হাঁস) পেয়েছেন ২৬ হাজার ৬৬১ ভোট। পলাশ উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৮২ হাজার ৯৭২ জন। এরমধ্যে ভোট প্রদান করেছেন ৩৫.৯৩ শতাংশ।

নাটোর প্রতিনিধি

নাটোরের তিনটি উপজেলা পরিষদে নির্বাচন সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলাগুলি হলো নাটোর সদর, নলডাঙ্গা এবং সিংড়া। এর মধ্যে সিংড়া উপজেলার চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন দেলোয়ার হোসেন পাশা। সেখানে শুধুমাত্র ভাইস চেয়ারম্যান এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

নাটোর সদর উপজেলা পরিষদে কাপ পিরিচ মার্কা প্রতীকে ৩৪৭৯৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম রমজান। এ নিয়ে তিনি টানা তিনবার চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হলেন।  তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম মাসুম দোয়াত কলম প্রতীকে পেয়েছেন ৩১, ৮৫৩ভোট। নাটোর সদর উপজেলায় ১১৫ টি কেন্দ্রে সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত বিরতিহীন ভাবে ভোট গ্রহণ করা হয়। নাটোর সদরে সর্বমোট ভোটার সংখ্যা ২৭২৩০২। ভোট পড়েছে ২৬ শতাংশ। অপরদিকে নলডাঙ্গা উপজেলায় কাপ-পিরিচ মার্কা প্রতীকে  ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন জোড়া ফুল প্রতীকে রবিউল ইসলাম রবিউল পেয়েছেন ১১১২৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী  তৌহিদুল ইসলাম লিটন কাপ পিরিচ  প্রতীকে ১০৬৬৭ ভোট পেয়েছেন। এই উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ১১৭১১৫। ভোট সংগ্রহ হয়েছে ৩০ শতাংশ। অপরদিকে সিংড়া উপজেলায় মোট ভোটার ৩১২৫৭০। এই উপজেলায় ভোট পড়েছে ২০ শতাংশ।

তবে নলডাঙ্গা উপজেলায় নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণায় দেরি হওয়ায় নানা প্রশ্ন  দেখা দিয়েছে প্রার্থীদের মাঝে।

রংপুর প্রতিনিধি

সারা দেশের ন্যায় রংপুরে পীরগাছা ও কাউনিয়ায় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই প্রথম ধাপে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভাবে ভোটগ্রহণ করা হয়। 

বুধবার (৮ মে) রাত সাড়ে ৮টায় বেসরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন রংপুরের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুলাহ আল মোতাহসিন।

বেসরকারি ফলাফল অনুযায়ী কাউনিয়া উপজেলায় বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম মায়া ৬০ হাজার ৭১৪ ভোটে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আওয়ামী লীগের আব্দুর রাজ্জাক ৪৭ হাজার ৮৬৩ ভোট পেয়েছেন। 

অপরদিকে পীরগাছা উপজেলায় নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মিলন। তিনি ভোট পেয়েছেন ৩২ হাজার ৬১৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের সহ-সম্পাদক মনোয়ারুল ইসলাম মাসুদ পেয়েছেন ৩১ হাজার ৫০৯ ভোট।

রংপুরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ সুষ্ঠু করতে ভোটের মাঠে তৎপর ছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাব ও বিজিবিকে টহল দিতে দেখা গেছে। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

রংপুরের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুলাহ আল মোতাহসিম জানান, সকাল থেকে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

ঝিনাইগাতী (শেরপুর) প্রতিনিধি

প্রথম ধাপের ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলাতে চেয়ারম্যান পদে আমিনুল ইসলাম বাদশা বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন রকিবুল ইসলাম রুকন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন জেসমিন আক্তার।

৮ মে বুধবার রাত সাড়ে ১০টায় উপজেলা নির্বাচন অফিস কক্ষে উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর ভোট গণনা শেষে ফলাফল ঘোষণা করেন।

চেয়ারম্যান পদে আমিনুল ইসলাম বাদশা, দোয়াত-কলম প্রতীকে ১৮ হাজার ৮৮৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী ফারুক আহমেদ ফারুক পেয়েছেন ১৬ হাজার ৫২ ভোট।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে রকিবুল ইসলাম রুকন, চশমা প্রতীকে ১৩ হাজার ২০৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী টিউবওয়েল প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী পেয়েছেন ১০ হাজার ৯৯৪ ভোট।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে জেসমিন আক্তার, ফুটবল প্রতীকে ২০ হাজার ৮৪৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রজাপতি প্রতীকের প্রার্থী লাইলী বেগম পেয়েছেন ১১ হাজার ৯৭৫ ভোট।

বুধবার সকাল ৮টা থেকে উপজেলার ৫৫টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ শুরু হয়, যা চলে একটানা বিকাল ৪টা পর্যন্ত। সকালের দিকে উপস্থিত কম হলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভোটার উপস্থিতি কিছুটা বাড়ে। বিশেষ করে নারী ভোটারের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। শান্তিপূর্ণভাবে ঝিনাইগাতী উপজেলায় ভোট গ্রহণ কার্যক্রম শেষ হয়, কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

লালমনিরহাট প্রতিনিধি

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মোঃ রুহুল আমীন বাবুল (আনারস) প্রতীকে বে-সরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

গত বুধবার (৮ মে) লালমনিরহাট জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং অফিসার মোঃ লুৎফুল কবীর সরকার এ ফলাফল ঘোষণা করেন।

পাটগ্রাম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ রুহুল আমীন বাবুল (আনারস) প্রতীকে ৫৬হাজার ১শত ৪৩টি ভোট পান। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মোঃ ওয়াজেদুল ইসলাম শাহীন (ঘোড়া) প্রতীকে ৯শত ৩৫টি ভোট পান। এছাড়াও মোঃ রেজাউল করিম (টেলিফোন) প্রতীকে ৩শত ৫৩টি ভোট পেয়েছেন। 

পাটগ্রাম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ মোফাজ্জল হোসেন (টিউবওয়েল) প্রতীকে ২৯হাজার ১শত ৩৬টি ভোট পান। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মোঃ আব্দুলা-আল মামুন (চশমা) প্রতীকে ২৭হাজার ২শত ৯৪টি ভোট পান। 

পাটগ্রাম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী বেজ্ওয়ানা পারভীন (ফুটবল) প্রতীকে ২৬হাজার ২১টি ভোট পান। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মোছাঃ লতিফা আক্তার (কলস) প্রতীকে ২০হাজার ২শত ১২টি ভোট পান। এছাড়াও মির্জা সাইরী তানিয়া (পদ্মফুল) প্রতীকে ১০হাজার ২শত ৭৭টি ভোট পেয়েছেন।

পাটগ্রাম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা জয়লাভ করায় সমর্থকরা আনন্দিত।

জুড়ী (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি

মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের আহবায়ক কিশোর রায় চৌধুরী মনি। জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার স্বাক্ষরিত পত্র ও প্রাথমিক বেসরকারি ফলাফল অনুযায়ী মোট ৪৪ টি ভোট কেন্দ্রে কাপ পিরিচ প্রতীকে কিশোর রায় চৌধুরী মনি পেয়েছেন ১৯ হাজার ৯ শত ১৮ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আনারস প্রতীকে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ মোঈদ ফারুক পেয়েছেন ১৫ হাজার ১শত ৮৮ ভোট।  তাছাড়া দোয়াত কলম প্রতীকে আমেরিকা প্রবাসী কবির উদ্দিন পেয়েছেন ১২ হাজার ৩ শত ৬৩ ভোট। 

গত বুধবার (৮ মে) সকাল ৮ টা থেকে ৪৪ টি কেন্দ্রে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। তবে প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল খুবই অল্প।  জুড়ী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার দেয়া তথ্য অনুসারে উপজেলায় মোট ৩৯ শতাংশ ভোট গ্রহন হয়েছে।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে চশমা প্রতীক নিয়ে মোঃ জুয়েল আহমদ ২১ হাজার ৩শত ২৮ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী টিয়া পাখি প্রতীকে মোঃ আব্দুস শহীদ পেয়েছেন ১৩ হাজার ২শত ৭৯ ভোট।   

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ফুটবল প্রতীক নিয়ে শিল্পী বেগম ২৯ হাজার ৫শত ৬০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রজাপতি প্রতীকে রঞ্জিতা শর্মা পেয়েছেন ১৯ হাজার ৭শত ৭৯ ভোট। 

জুড়ী উপজেলায় এবারের উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ মোঈদ ফারুক, বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক রিংকু রঞ্জন দাস, উপজেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক কিশোর রায় চৌধুরী মনি, কবির উদ্দিন তাঁর আপন ভাই ডামি প্রার্থী মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, পশ্চিম জুড়ী ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলী হোসেন।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা, আনজুমানে আল ইসলাহ্ জুড়ী উপজেলার সভাপতি মোহাম্মদ আব্দুস শহীদ, উপজেলা মৎস্য জীবি লীগের সাবেক  সদস্য সচিব রুবেল আহমদ, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শেখরুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইকবাল ভূইয়া উজ্জ্বল,  যুবদল নেতা মোয়াজ জাকারিয়া শিবলু ও ব্যবসায়ী শামীম আহমেদ। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন রনজিতা শর্ম্মা, সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আজিবুন খানম ও শিল্পী বেগম।

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জের তিনটি উপজেলায় প্রথম ধাপের নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। ভোট গণনা শেষে তিন উপজেলায় তিন জনকে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার (৮ মে) রাতে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোরশেদ আলম তাদেরকে বিজয়ী ঘোষণা করেন।

জেলা নির্বাচন অফিস জানায়, সদর উপজেলায় মো. আওলাদ হোসেন (মোটরসাইকেল) বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৪৪ হাজার ৯৪২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মামুন আল-মাসুদ খান (কাপ পিরিচ) পেয়েছেন ৪২ হাজার ১৫৪ ভোট। 

এ উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন রিফাত উদ্দিন আহম্মেদ বচন (উড়োজাহাজ)। তিনি পেয়েছেন ২৫ হাজার ৫৭২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোখলেছুর রহমান মিতুল (চশমা) পেয়েছেন ২১ হাজার ১৯৯ ভোট।

সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোছা: মাছুমা আক্তার (হাঁস প্রতীক)। তিনি পেয়েছেন ৫৪ হাজার ৫৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তাছলিমা সুইটি (ফুটবল) পেয়েছেন ৩২ হাজার ৫৭৪ ভোট।

জেলার হোসেনপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আনারস প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সোহেল। তিনি পেয়েছেন ২৩ হাজার ৯৬৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ হালিম (হেলিকপ্টার) পেয়েছেন ১৭ হাজার ১৭৪ ভোট।

এ উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন মো: আল আমিন (টিউবওয়েল)। তিনি পেয়েছেন ৩৭ হাজার ৫৪১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শফি উদ্দিন সরকার বাচ্চু (চশমা) পেয়েছেন ২০ হাজার ৯১২ ভোট।

সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন ছাবিয়া পারভীন জেনি (কলস)। তিনি পেয়েছেন ৪৯ হাজার ৫২৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সেলিনা আক্তার (হাঁস) পেয়েছেন ১৩ হাজার ৯৪০ ভোট।

জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী এমদাদুল হক জুটন (আনারস)। তিনি পেয়েছেন ২৮ হাজার ৭৩৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য রফিকুল ইসলাম রেনু (মোটরসাইকেল) পেয়েছেন ২৭ হাজার ৭৯১ ভোট।

এ উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন এ কে এম ফজলুল হক বাচ্চু (তালা)। তিনি পেয়েছেন ২৬ হাজার ২১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আতাউর রহমান সোহাগ (উড়োজাহাজ) পেয়েছেন ২৩ হাজার ১৮৭ ভোট।

সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে কলস প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন শামসুন্নাহার বেগম। তিনি পেয়েছেন ৪৮ হাজার ৯৬২ ভোট। ফুটবল প্রতীক তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোছা: ললিতা বেগম পেয়েছেন ১৭ হাজার ১৮৩ ভোট।

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

নির্বাচন কমিশন (ইসি) এর ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন -২০২৪ এর প্রথম ধাপে গোপালগঞ্জের ৩ উপজেলার সাধারণ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ গত বুধবার (৮ মে) সম্পন্ন হয়েছে। 

গোপালগঞ্জের পাঁচ উপজেলার মধ্যে প্রথম ধাপে তিন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা, কোটালীপাড়া ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলা।

সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়। পরে বিভিন্ন কেন্দ্রের প্রাপ্ত ফলাফলে কোটালীপাড়া উপজেলায় সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান বিমল কৃষ্ণ বিশ্বাস, টুঙ্গিপাড়ায় মোঃ বাবুল শেখ ও গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় কামরুজ্জামান ভূইয়া (লুটুল) বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে।  

শেখ মণি অডিটরিয়ামে স্থাপিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ফলাফল সংগ্রহ ও পরিবেশন কেন্দ্রে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন অফিসার মুহাম্মদ ফয়জুল মোল্লার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মাহবুবুল আলম।

এ সময় গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, এনএসআই, বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাগণ, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও তাদের প্রতিনিধিগণ সহ জেলায় বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এর আগে জেলা পুলিশ সুপার আল -বেলী আফিফা পিপিএম এর নেতৃত্বে জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ কোটালীপাড়া, টুঙ্গিপাড়া ও গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার বিভিন্ন ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করেন এবং প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও সাধারণ ভোটারদের সাথে কুশলাদি বিনিময় করেন।

ভাইস-চেয়ারম্যান পদে কোটালীপাড়ায় দেবদুলাল বসু (টিউবওয়েল প্রতীক), টুঙ্গিপাড়ায় মাওলানা আব্দুল ওহাব শেখ (ধলু) (উড়োজাহাজ প্রতীক), গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় সুশীল বিশ্বাস (উড়োজাহাজ) বিজয়ী হয়েছেন। এছাড়া কোটালীপাডা উপজেলা মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান জেসমিন বেগম (কলস প্রতীক), টুঙ্গিপাড়া উপজেলা পারুল ফায়েক (হাঁস) ও গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার সদ্য সাবেক মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান নিরুন্নাহার (হাঁস প্রতীক) বিজয়ী হয়েছেন। 

কোটালীপাড়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বিমল কৃষ্ণ বিশ্বাস (দোয়াত-কলম) পেয়েছেন ৪০,২৭১ ভোট, ভাইস-চেয়ারম্যান পদে দেবদুলাল বসু (টিউবওয়েল) ৬৯,৫৩৭ ভোট এবং মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে জেসমিন বেগম (কলস) পেয়েছেন ৪৫,৯৮৯ ভোট।

টুঙ্গিপাড়ায় উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মোঃ বাবুল শেখ (দোয়াত-কলম)৪০,৭৭৮, ভাইস-চেয়ারম্যান পদে মাওঃ আব্দুল ওহাব শেখ (উড়োজাহাজ) ২০,৯৭৩ ভোট,  মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পারুল বেগম (হাঁস) ১৬,০৩৭ ভোট। 

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে কামরুজ্জামান ভূইয়া (লুটুল) টেলিফোন ৩১,৩৫৪ ভোট। ভাইস-চেয়ারম্যান পদে সুশীল বিশ্বাস (উড়োজাহাজ) পেয়েছেন ২৮,২৪০ ভোট এবং মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে নিরুন্নাহার (হাঁস) ৫৪,০২৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।

উল্লেখ্য, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার সময় বিভিন্ন নাটকীয়তা ঘটেছে। ফলাফল ঘোষণার সময় বি. এম. লিয়াকত আলী ভূইয়া'র (আনারস) প্রতীকের সমর্থকরা ভোট গণনা ও ফলাফল প্রকাশে কারচুপির অভিযোগ এনে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, রিটার্নিং অফিসার সহ নির্বাচন আয়োজনের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে "ঘুষখোর -ঘুষখোর", "ভুয়া - ভুয়া" ফলাফল মানি না, মানবো না বলে জোরে সোরে স্লোগান দেয়। এর আগে পরিস্থিতির সামাল দিতে 'শেখ ফজলুল হক মণি' - স্মৃতি মিলনায়তনে স্থাপিত ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ফলাফল সংগ্রহ ও পরিবেশন কেন্দ্রে সশস্ত্র বিজিবি, র‍্যাব, পুলিশ ও আনসার বাহিনীর বিপুল সখ্যক সদস্য মোতায়েন রেখে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এতে ফলাফল নিতে আগত সকলের চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

বদলগাছী (নওগাঁ) প্রতিনিধি 

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে নওগাঁর দুই উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যানরাই আবারও নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচন কমিশন ঘোষিত প্রথম দফা তফসিল অনুযায়ী বুধবার নওগাঁর বদলগাছী ও পত্নীতলা উপজেলায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

বদলগাছী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দ্বিতীয় মেয়াদের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক কোষাধ্যক্ষ শামসুল আলম খান। পত্নীতলায় উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গাফফার চৌধুরী আবারও চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

বুধবার রাত ১০টার দিকে জেলা নির্বাচন অফিস মিলনায়তনে ফলাফল সংগ্রহ ও পরিবেশন কেন্দ্রে এই ফল ঘোষণা করেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. তারিফুজ্জামান। 

বদলগাছী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এবার চেয়ারম্যান পদে মোট আটজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। বেসরকারিভাবে ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী, উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগর সাবেক কোষাধ্যক্ষ শামসুল আলম খান ২১ হাজার ৯২ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় মেয়াদের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেস। তাঁরর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু খালেদ বুলু পেয়েছেন ১৫ হাজার ২৬৭ ভোট। 

পত্নীতলা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দুইজন প্রার্থী ছিলেন। বেসরকারিভাবে ঘোষিত ফলাফলে, উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গাফফার চৌধুরী ৬২ হাজার ৭৮৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল খালেক চৌধুরী পেয়েছেন ৫০ হাজার ৮৫৬ ভোট।

কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি

প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কালীগঞ্জে আমজাদ হোসেন স্বপন চেয়ারম্যান পদে বেসরকারী ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি মোটর সাইকেল প্রতীকে ৪৩ হাজার ২ শত ১৯ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি এ্যাড. আশরাফী মেহেদী হাসান দোয়াত কলম পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৩ শত ৫৬ ভোট। উল্লেখযোগ্য কোন সহিংসতা ছাড়া ও ভোটার খরার মধ্য দিয়ে গত বুধবার সম্পন্ন হলো উম্মুক্ত এই নির্বাচন। 

ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোজাম্মেল হক টিয়া পাখি প্রতীকে ৩১ হাজার ৫ শত ৫৯ ভোট এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে জুয়েনা আহমেদ হাঁস প্রতীকে ৪৮ হাজার এক শত ৪৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। 

চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জনসহ মোট ১১ জন প্রার্থী এ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করেন।   

Sangbad Sarabela

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । 01894-944220 । [email protected], বিজ্ঞাপন: 01894-944204

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.