ফরিদগঞ্জে ছেলেকে বিয়ে না করানোয় গর্ভধারিনী মাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যা করেছে ছেলে রাছেল। ঘটনার পর ঘাতক ছেলে রাছেল (২২) পালানোর চেষ্টা করলেও পুলিশ দ্রুত তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ফরিদগঞ্জ পৌরসভাধীন কেরোয়া এলাকা থেকে তাকে আটক করে।
শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) উপজেলার পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের ইছাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মায়ের নাম রানু বেগম (৫৫)। খবর পেয়ে বিকেলে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ব্যাপারে রানু বেগমের স্বামী আতর খান বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
নিহতের স্বামী আতর খাঁন বলেন, আমার ৩ মেয়ে ও ২ ছেলের মধ্যে রাছেল সবার ছোট। গত কয়েকদিন যাবত তাকে বিয়ে করানোর জন্য আমাদেরকে হুমকি দিয়ে আসছে। কয়েকদিন পূর্বে সে আমাকেও মেরেছে। আমি স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় বাবুর্চির কাজে ছিলাম। রাছেল দুপরে ৩টার দিকে আমাকে ফোন দিয়ে বলে তার মাকে কে যেন ঘরে জবাই করে রেখেছে। তখন আমি নিশ্চিত হয়েছি, আমার স্ত্রী তার সন্তানের হাতেই খুন হয়েছে। ফোন কেটে সাথে সাথে আমি বাড়িতে এসে দেখি আমার স্ত্রী রানু বেগমের মরদেহ বিছানায় পড়ে আছে। পরে আমার ডাকচিৎকারে স্থানীয়রা এসে পুলিশকে খবর দেয়। এঘটনার পরপরই ঘাতক রাছেল পালানোর চেষ্টা করে। তবে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ তাকে ফরিদগঞ্জ পৌরসভাধীন কেরোয়া এলাকা থেকে তাকে আটক করতে সক্ষম হয়।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হোসাইন আহমেদ রাজন শেখ বলেন, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। জানতে পেরেছি, নিহতের ৫ সন্তানের মধ্যে রাছেল সবার ছোট। কিছুদিন যাবত সে তার বাবা-মাকে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছিল তাকে বিয়ে করানোর জন্য। যদি তাকে বিয়ে না করায়, সে তার বাবা-মাকে খুন করে ফেলবে। আশাকরি মর্মান্তিক এই হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচার করবে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন।
ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থল থেকে রানু বেগমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘাতক ছেলে রাছেলকে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ফরিদগঞ্জ পৌরসভার কেরোয়া এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ধারালো কাস্তে উদ্ধার করা হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে।