৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন- ২০২৪ -এ গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী মুন্সী ফররুখ হোসেনের (মিন্টু মুন্সী) বিরুদ্ধে হলফনামায় তথ্য গোপনের অভিযোগ উঠেছে।
পরে এ সংক্রান্তে কাজী নুরুল আমিন নামের এক ব্যক্তি ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন-২০২৪ ইং কাশিয়ানী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মুন্সী ফররুখ হোসেন (মিন্টু মুন্সী) একজন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি। মামলা নং- দুদক জি, আর ৪/১৯ ফরিদপুর। তার নির্বাচনী মনোনয়নপত্রের হলফনামায় সারাদেশে আলোচিত ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের পর্দা কেলেঙ্কারি মামলার তথ্য গোপন করে মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন। শুধু তাই নয় দেশের বিভিন্ন জেলায় তার নামে মামলা রয়েছে বলেও অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে। আলোচিত পর্দা কেলেঙ্কারির মামলায় দেশের অধিকাংশ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় প্রচারিত হয়েছে।
এ বিষয়ে অভিযোগকারী বলেন, অনলাইনের মাধ্যমে নির্বাচনী হলফনামায় মুন্সী ফররুখ হোসেন (মিন্টু মুন্সী) মামলা সংক্রান্ত বিষয়ের তথ্য গোপন করে আবেদন করেন। স্বভাবতই তার নির্বাচনী আবেদন পত্রটি বাতিল হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু কেন হচ্ছে না? তা বোধগম্য নয়।
গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে দেওয়া অভিযোগ পত্রে অভিযুক্ত মুন্সী ফররুখ হোসেন (মিন্টু মুন্সী) এর ০১৭...৫২ মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি আলোচিত পর্দা কেলেঙ্কারি মামলার বিষয়ে সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ওই লাইসেন্সটি আমার ছোট ভাইয়ের ছিলো, দুদক আমাকেও জড়িয়ে মামলাটি দায়ের করেছে। মামলাটি চলমান রয়েছে। আমি নির্বাচনী মনোনয়নপত্রে উক্ত মামলার বিষয়টি উল্লেখ করেছি।
এবিষয়ে গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. গোলাম কবির বলেন, আমরা বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশনে যোগাযোগ করেছি, ইসির নির্দেশ মতেই আপাতত তার প্রার্থিতা বৈধ বলে ঘোষণা করা হয়েছে।
এদিকে সমাজে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্তরা অর্থ ও প্রভাব বিস্তার করে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হলে বঙ্গবন্ধু কন্যা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে সাংঘর্ষিক হবে বলে মনে করছেন সচেতন ভোটার ও সুধী সমাজ।