রংপুরের বদরগঞ্জে আদিবাসী এক ষষ্ঠ শ্রেণির স্কুলছাত্রীকে (১৩) শ্লীলতাহানির অভিযোগে মো. আহমেদ আলী (৫৫) নামের এক জনকে আটক করেছে বদরগঞ্জ থানা পুলিশ।
সোমবার (২২ এপ্রিল) উপজেলা রামনাথপুর ইউনিয়নের খোদ্দ্ বাগবার গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
স্কুলছাত্রীর অভিভাবক নারী ও শিশু নির্যাতন ও দমন আইনে ১০ ধারায় আহমেদ আলীকে প্রধান আসামি করে মামলা করেন। থানায় মামলা করলে ওই দিন বিকেলে রামনাথপুর ইউনিয়নের চানমারি এলাকা থেকে তাকে আটক করে পুলিশ।
সরেজমিনে জানা যায়, আহমেদ আলী ৪০ দিন মাটি কাটার কর্মসূচিতে কাজ করেন। সেই সুবাদে ওই আদিবাসী স্কুল ছাত্রীর বাড়িতে পাশে রাস্তায় কাজ করাকালীন। গরু বিক্রির কথা বলে ওই কর্মসূচি থেকে চলে যান। পরে মাটি কাটার কর্মসূচির লোকজন জানতে পারে। তিনি একটি স্কুল ছাত্রীকে মুখ চেপে ধরে ঘরের মধ্যে নিয়ে গিয়েছিল। পাশের বাড়ির লোকজন টের পেলেই ঘটনাস্থান থেকে পালিয়ে যায় বলে জানা যায়।
এলাকাবাসীর রিংকি নামের এক নাড়ি বলেন, আমার ছোট বাচ্চাটির কাপড় নষ্ট হয়ে গেছে। আমার বাড়িতে নলকূপ না থাকায়। ওই বাড়িতে কাপড় ধোয়ার জন্য গেলে ওই স্কুল ছাত্রীকে ডাক দিলে ঘরের ভিতর থেকে গঙ্গানের শব্দ পাওয়া যায়। পরে ঘরের মধ্যে দেখতে পান আহমেদ আলী ওই স্কুল ছাত্রীর মুখ চেপে জড়িয়ে ধরে আছেন। তার ডাক চিৎকারে গ্রামবাসী এগিয়ে আসলে কৌশলে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় আহমেদ আলী।
পরিবারের লোকজন জানান, ঘটনার দিন স্কুল ছাত্রীর বাবা-মা মাঠে কাজ করতে গেলে সেই সুযোগে বাড়ির গলি থেকে স্কুল ছাত্রীর মুখ চেপে ধরে স্কুল ছাত্রীর ঘরে নিয়ে যায়। ভুক্তভোগী একাকী পেয়ে ঝাপটে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এলাকাবাসী টের পেলে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আহমেদ আলীর ছেলে বাদশা মিয়া বলেন, আমার বাবাকে ফাঁসানো হয়েছে। গতকাল সকালে আমাদের কাঁঠাল গাছে কোটা নিয়ে গিয়ে খড়ি পারতে গিয়েছিল ওই মেয়ে। গাছের খরি পারতে দেওয়া আমার বাবা।ওই সময় তার হাত থেকে খড়িপাড়া কোটাটি কেড়ে নিয়েছিল। পরে কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি চলে যান মেয়েটি তারপরেই এরকম ঘটনা সৃষ্টি হয়।
বদরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আব্দুল লতিফ বলেন, এ ঘটনায় আসামিকে আটক করা হয়েছে। ওই মামলায় আসামিকে রংপুর জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।