ঝালকাঠির গাবখান সেতুর টোল প্লাজায় মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৬ জনের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম।
নিহত হাসিবুর রহমান প্রিন্স, তার স্ত্রী নাহিদা সুলতানা, মেয়ে তাকিয়া, ছেলে তাহমিদ, ভায়রা আল ইমরান ও শ্যালিকা নিপা প্রাইভেটকারে ছিলেন।
টোল প্লাজায় ট্রাকের চাপায় দুমড়ে মুচড়ে চায় প্রাইভেটকারটি। এতে একই পরিবারের ৬ জন ও চালকসহ ৭ জনের মৃত্যু হয়। এ দুর্ঘটনায় মোট ১৪ জন নিহত হয়।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকাল ১০ টায় রাজাপুর উপজেলার দক্ষিণ সাউথপুর দাখিল মাদরাসা চত্বরে জানাজা নামাজ সম্পন্ন হয়। জানাজায় হাজারেরও বেশি মানুষ অংশ নেন। পরে নিহত প্রিন্স, তার স্ত্রী ও সন্তানসহ ৪ জনকে নিজ বাড়ি ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলা উত্তর সাউতপুর গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। অপর দুইজনকে তাদের নিজ বাড়ি প্রাঙ্গণে দাফন করা হয়েছে।
এছাড়া বাকি ৮ জনের দাফন তাদের নিজ নিজ বাড়িতে সম্পন্ন হয়েছে। ১৪ জনের মৃত্যুতে তাদের এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
এর আগে বুধবার (১৭ এপ্রিল) দুপুর ২টার দিকে গাবখান সেতুর টোলপ্লাজায় সিমেন্টবোঝাই একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মাইক্রোবাস ও অটোরিকশা নিয়ে খাদে পড়ে গেলে ভয়াবহ এ দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়, প্রত্যক্ষদর্শী, ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ সূত্র জানায়, দুপুর ২টার দিকে রাজাপুর থেকে বরিশালের দিকে যাচ্ছিল সিমেন্টবোঝাই একটি ট্রাক। গাবখান সেতু থেকে নামার সময় ট্রাকটি নিয়ন্ত্রণ হারায়। পরে টোলপ্লাজায় অবস্থানরত একটি মাইক্রোবাস ও অটোরিকশাকে ধাক্কা দিয়ে নিয়ে খাদে পড়ে। এতে ট্রাকের ক্ষতি কম হলেও মাইক্রোবাস ও অটোরিকশাটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। পরে স্থানীয়রা ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা নিহত ও আহতদের উদ্ধার করেন।
এ ঘটনায় ঘাতক ট্রাকচালক আল আমিন হাওলাদার ও তার সহকারী নাজমুল শেখকে আটক করেছে পুলিশ। জব্দ করা হয়েছে সিমেন্টবোঝাই ট্রাকটিও।
এদিকে দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি করেছে জেলা প্রশাসন। আগামী পাঁচদিনের মধ্যে কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক ফারাহ গুল নিঝুম।